What is Gravitation? অভিকর্ষ কাকে বলে? অভিকর্ষজ ত্বরণের মান, অভিকর্ষজ বলের সঙ্গে অভিকর্ষজ ত্বরণের সম্পর্ক।

অভিকর্ষ কাকে বলে?

অভিকর্ষ (Gravitation) হলো দুটি বস্তুর মধ্যে কার্যকরী আকর্ষণ বল, যা তাদের ভরের কারণে সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবী সকল বস্তুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, যা আমরা মাধ্যাকর্ষণ বল (Gravitational Force) নামে জানি।

What is Gravitation

Historical Agreement of India List-ভারতের ঐতিহাসিক চুক্তি তালিকা

অভিকর্ষজ ত্বরণের সংজ্ঞা:

যখন কোনো বস্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ফলে পতিত হয়, তখন সেটি এক নির্দিষ্ট ত্বরণে নিচের দিকে নেমে আসে। এই ত্বরণকে অভিকর্ষজ ত্বরণ (Acceleration due to Gravity) বলে। এটি g দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর মান পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

What is unit? একক কাকে বলে? এককের প্রয়োজনীয়তা কি? একক কত প্রকার কি কি এবং উদাহরণ?

বিভিন্ন এককে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান:

  • একক পদ্ধতি অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) এর মান
  • এসআই (SI) পদ্ধতি 9.8 m/s²
  • সিজিএস (CGS) পদ্ধতি 980 cm/s²
  • এফপিএস (FPS) পদ্ধতি 32.2 ft/s²

মনে রাখার কৌশল:

  • SI এককে → মিটার প্রতি সেকেন্ড বর্গ (m/s²)
  • CGS এককে → সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ড বর্গ (cm/s²)
  • FPS এককে → ফুট প্রতি সেকেন্ড বর্গ (ft/s²)

সংক্ষেপে:

  • অভিকর্ষ → বস্তুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল
  • অভিকর্ষজ ত্বরণ → পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের কারণে পতিত বস্তুর ত্বরণ
  • g এর মান → SI: 9.8 m/s², CGS: 980 cm/s², FPS: 32.2 ft/s²

What is Physical Quantity? ভৌত রাশি কাকে বলে? ভৌত রাশি কয় প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ প্রত্যেক ভৌত রাশির সংজ্ঞা ও পার্থক্য

অভিকর্ষজ বলের সঙ্গে অভিকর্ষজ ত্বরণের সম্পর্ক

নিউটনের দ্বিতীয় গতি সূত্র অনুসারে, কোনো বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল বল (F) বস্তুটির ভর (m) এবং ত্বরণ (a) এর গুণফলরূপে প্রকাশ করা যায়:

F=m⋅aF = m \cdot aF=m⋅a

যখন এই বলটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল হয়, তখন ত্বরণটি হবে অভিকর্ষজ ত্বরণ (g)। সুতরাং, অভিকর্ষজ বলের জন্য সূত্রটি হবে—

F=m⋅gF = m \cdot gF=m⋅g

মূল সম্পর্ক:

  • অভিকর্ষজ বল (F) → কোনো বস্তুর ভরের ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল।
  • অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) → পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ফলে পতিত বস্তুর গতি পরিবর্তনের হার।
  • অভিকর্ষজ বল (F) বস্তুটির ভর (m) ও অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) এর সরাসরি গুণফল।

সংক্ষেপে:

  • F = m × g সম্পর্কটি দেখায় যে, অভিকর্ষজ বল বস্তুটির ভরের সমানুপাতিক এবং পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর নির্ভরশীল।
  • যদি g বৃদ্ধি পায়, তাহলে F-এর মানও বৃদ্ধি পাবে।
  • পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে g-এর মান সামান্য পরিবর্তিত হলে, অভিকর্ষজ বলের মানও পরিবর্তিত হয়

50+ General Knowledge in Bengali NTPC Previous Year Question- সাধারণ জ্ঞান বাংলায়

Categories: Science

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *