What is Mass and Weight? ভর ও ওজন কাকে বলে? সম্পর্ক, পার্থক্য, কোন যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর এবং ভার বা ওজন মাপা হয়?
What is Mass? ভর কাকে বলে?
ভর হল কোনো বস্তুর মধ্যে থাকা পদার্থের পরিমাণ। এটি একটি মৌলিক ভৌত রাশি এবং এটি কখনোই স্থান বা অবস্থার উপর নির্ভর করে না। অর্থাৎ, পৃথিবী, চাঁদ বা মহাকাশ—যেখানেই বস্তুটি থাকুক না কেন, তার ভর সব জায়গায় একই থাকবে।
- ভরের একক: কিলোগ্রাম (kg)
- ভরের মাপক যন্ত্র: ব্যালান্স বা তুলা
উদাহরণ: একটি বইয়ের ভর যদি 1 কেজি হয়, তবে সেটা কলকাতা হোক বা দিল্লি—সব জায়গাতেই ১ কেজি থাকবে।
What is unit? একক কাকে বলে? এককের প্রয়োজনীয়তা কি? একক কত প্রকার কি কি এবং উদাহরণ?
What is Weight? ওজন কাকে বলে?
ওজন হল একটি বস্তুর উপর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাব। এটি একটি বলজাতীয় রাশি এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, ওজন স্থানভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ যত বেশি, ওজন তত বেশি।
- ওজনের সূত্র: ওজন (W) = ভর (m) × মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (g)
- ওজনের একক: নিউটন (N)
- ওজন মাপার যন্ত্র: স্প্রিং ব্যালান্স
উদাহরণ: একটি বস্তুর ভর যদি 5 কেজি হয়, তবে পৃথিবীতে তার ওজন হবে 5 × 9.8 = 89 নিউটন। কিন্তু চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ায়, ওজনও কম হবে।
What is the Unit System? একক পদ্ধতি কাকে বলে? একক পদ্ধতি কয় প্রকার কি কি এবং ব্যবহার
Relationship between mass and weight. ভর ও ওজনের সম্পর্ক
ভর ও ওজন এই দুটি ভৌত রাশির মধ্যে একটি সরল ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এরা আলাদা রাশি, তবে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
ভর ও ওজনের সম্পর্ক:
ওজন (W) = ভর (m) × মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (g)
এই সূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তুর ওজন নির্ভর করে তার ভর এবং সেই স্থানের মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণের উপর।
মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (g) পৃথিবীতে গড়ে প্রায় 9.8 m/s²।
উদাহরণস্বরূপ:
যদি একটি বস্তুর ভর হয় 10 কেজি, তাহলে তার ওজন হবে:
W = 10 × 9.8 = 98 নিউটন (N)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
- ভর সর্বত্র অপরিবর্তনীয় – পৃথিবী, চাঁদ কিংবা মহাকাশে একই থাকে।
- ওজন পরিবর্তনশীল – এটি স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়, কারণ g পরিবর্তিত হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ পৃথিবীর প্রায় 1/6, তাই বস্তুর ওজনও কমে যায়।
ভর ও ওজন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু তারা এক নয়। ভর একটি মৌলিক রাশি এবং অপরিবর্তনীয়, অথচ ওজন হলো একটি বল যা স্থান ও অবস্থার উপর নির্ভর করে। ওজন = ভর × g এই সূত্রটিই তাদের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে।
Difference between mass and weight. ভর ও ওজনের পার্থক্য
ভর ও ওজন এই দুটি শব্দ দেখতে অনেকটাই মিল থাকলেও, ভৌত বিজ্ঞানে এদের মানে ও ব্যবহার সম্পূর্ণ আলাদা। নিচে টেবিল আকারে সহজভাবে পার্থক্যটি ব্যাখ্যা করা হলো:
ভর (Mass) | ওজন (Weight) |
বস্তুর মধ্যে থাকা পদার্থের পরিমাণ | বস্তুর উপর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাব |
এটি একটি স্কেলার রাশি। | এটি একটি ভেক্টর রাশি। |
একক কিলোগ্রাম (kg) | একক নিউটন (N) |
পরিমাপের যন্ত্র ব্যালান্স বা তুলা | পরিমাপের যন্ত্র স্প্রিং ব্যালান্স |
অবস্থাভেদে মান অপরিবর্তনীয় | অবস্থাভেদে মান অবস্থান অনুযায়ী পরিবর্তনশীল (g পরিবর্তিত হলে) |
এর কোনো সূত্র নেই | এর সূত্র ওজন = ভর × মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (W = m × g) |
বস্তুর পদার্থের পরিমাণের উপর নির্ভর করে | ভর ও মাধ্যাকর্ষণের উপর নির্ভর করে |
উদাহরণ:
- একটি বইয়ের ভর 2 কেজি হলে তার ভর সব জায়গায় 2 কেজিই থাকবে।
- কিন্তু পৃথিবীতে তার ওজন হবে 2 × 9.8 = 19.6 নিউটন, আর চাঁদে ওজন হবে অনেক কম।
What is Matter? পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের অবস্থা কত প্রকার ও কি কি?
কোন যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর এবং ওজন (ভার) মাপা হয়?
ভর মাপার যন্ত্র:
ব্যালান্স (Balance) বা তুলা হল সেই যন্ত্র যার সাহায্যে কোনো বস্তুর ভর মাপা হয়। ব্যালান্সের মাধ্যমে আমরা এক বস্তুকে অন্য বস্তু বা ওজনদণ্ডের সাথে তুলনা করে ভর নির্ণয় করি।
ব্যবহৃত কিছু ভর মাপার যন্ত্র:
- দুই-প্যানযুক্ত ব্যালান্স (Double-pan balance)
- একক-প্যান ব্যালান্স (Single-pan balance)
- ইলেকট্রনিক ব্যালান্স (Electronic balance) — আধুনিক সময়ে খুব প্রচলিত
- স্নাতক ব্যালান্স (Beam balance) — বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হয়
উদাহরণ: দোকানে বা পরীক্ষাগারে ওজন মাপার জন্য ব্যালান্স ব্যবহৃত হয়।
ওজন (ভার) মাপার যন্ত্র:
স্প্রিং ব্যালান্স (Spring Balance) হল সেই যন্ত্র যার সাহায্যে কোনো বস্তুর ওজন বা ভার মাপা হয়। এটি মাধ্যাকর্ষণ বলের পরিমাণ অনুযায়ী প্রসারিত বা সংকুচিত হয় এবং ওজন নির্দেশ করে।
- এই যন্ত্র সরাসরি নিউটন (N) এককে ওজন প্রদর্শন করে।
উদাহরণ: একটি বস্তু স্প্রিং ব্যালান্সে ঝুলিয়ে দিলে, সেটি প্রসারিত হয়ে স্কেলে নির্দিষ্ট ওজন দেখায়।
0 Comments