What is Physical Quantity? ভৌত রাশি কাকে বলে? ভৌত রাশি কয় প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ প্রত্যেক ভৌত রাশির সংজ্ঞা ও পার্থক্য

What is Physical Quantity? ভৌত রাশি কাকে বলে?

যে সকল রাশির মান পরিমাপ করা যায় এবং যা নির্দিষ্ট এককসহ প্রকাশ করা সম্ভব, তাকে ভৌত রাশি (Physical Quantity) বলে। সহজভাবে বলা যায়, প্রকৃতির যেকোনো বিষয় বা ধর্ম, যা সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় এবং যা নির্দিষ্ট একক ব্যবহার করে মাপা সম্ভব, সেটিই ভৌত রাশি।

ভৌত রাশির বৈশিষ্ট্য: What is Physical Quantity?

• পরিমাপযোগ্য → ভৌত রাশির মান নির্দিষ্ট উপায়ে মাপা যায়।
• এককসহ প্রকাশ করা হয় → প্রতিটি ভৌত রাশির নির্দিষ্ট একক থাকে।
• গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব → এটি গাণিতিক সমীকরণে প্রকাশ করা যায়।
• প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে পরিবর্তিত হয় → বিভিন্ন বাহ্যিক কারণে ভৌত রাশির মান পরিবর্তিত হতে পারে।

ভৌত রাশি কয় প্রকার ও কি কি?

ভৌত রাশি মূলত দুই প্রকারের হয়:

• স্কেলার রাশি (Scalar Quantity)
• ভেক্টর রাশি (Vector Quantity)

Historical Agreement of India List-ভারতের ঐতিহাসিক চুক্তি তালিকা

1. স্কেলার রাশি (Scalar Quantity)

যেসব ভৌত রাশির শুধু মাত্র মান (পরিমাণ) থাকে কিন্তু দিক থাকে না, তাদের স্কেলার রাশি বলে।

উদাহরণ:

• ভর (Mass)
• দৈর্ঘ্য (Length)
• সময় (Time)
• তাপমাত্রা (Temperature)
• কাজ (Work)
• শক্তি (Energy)

2. ভেক্টর রাশি (Vector Quantity)

যেসব ভৌত রাশির মান ও দিক উভয়ই থাকে, তাদের ভেক্টর রাশি বলে।

উদাহরণ:

• বেগ (Velocity)
• ত্বরণ (Acceleration)
• বল (Force)
• সরণ (Displacement)
• ভরবেগ (Momentum)

উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা:

উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা:

1. দৈর্ঘ্য (Length) – ১০ মিটার হলে এটি শুধু মাত্র পরিমাণ নির্দেশ করে, কোনো দিক নেই। তাই এটি স্কেলার রাশি।
2. বেগ (Velocity) – ১০ মিটার/সেকেন্ড পূর্ব দিকে হলে এখানে মানের সাথে দিকও উল্লেখ করা হয়েছে, তাই এটি ভেক্টর রাশি।

এভাবেই বিভিন্ন ভৌত রাশি স্কেলার ও ভেক্টর হিসেবে ভাগ করা হয়।

ভেক্টর রাশি ও স্কেলার রাশির মধ্যে পার্থক্য

বৈশিষ্ট্য	স্কেলার রাশি	ভেক্টর রাশি
সংজ্ঞা	যে ভৌত রাশির শুধুমাত্র মান থাকে, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দিক থাকে না, তাকে স্কেলার রাশি বলে।	যে ভৌত রাশির মান ও নির্দিষ্ট দিক উভয়ই থাকে, তাকে ভেক্টর রাশি বলে।
দিক নির্ভরতা	স্কেলার রাশির কোনো নির্দিষ্ট দিক থাকে না।	ভেক্টর রাশির নির্দিষ্ট দিক থাকে
সংযোজন পদ্ধতি	সাধারণ গাণিতিক নিয়মে যোগ করা হয়।	ভেক্টর যোগের বিশেষ নিয়ম (ত্রিভুজ বিধি, সমান্তরালক্রম বিধি) অনুসরণ করতে হয়।
উদাহরণ	ভর, দৈর্ঘ্য, সময়, তাপমাত্রা, কাজ, শক্তি ইত্যাদি।	বল, বেগ, ত্বরণ, সরণ, ভরবেগ ইত্যাদি।
ঋণাত্মক মান	সাধারণত স্কেলার রাশি ঋণাত্মক বা শূন্য হতে পারে।	ভেক্টর রাশি নির্দিষ্ট দিকের বিপরীতে থাকলে ঋণাত্মক হয়।
দিক পরিবর্তনের প্রভাব	দিক পরিবর্তন করলে স্কেলার রাশির মান পরিবর্তিত হয় না।	দিক পরিবর্তন করলে ভেক্টর রাশির প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়।

উদাহরণ:

• দৈর্ঘ্য (Length): ৫ মিটার (এটি স্কেলার রাশি, কারণ এখানে দিকের প্রয়োজন নেই)।
• বেগ (Velocity): ৫ মিটার/সেকেন্ড পূর্ব দিকে (এটি ভেক্টর রাশি, কারণ মানের সাথে নির্দিষ্ট দিকও আছে)।

এভাবেই স্কেলার ও ভেক্টর রাশির মধ্যে পার্থক্য করা হয়।

What is unit? একক কাকে বলে? এককের প্রয়োজনীয়তা কি? একক কত প্রকার কি কি এবং উদাহরণ?

ভৌত রাশি ও প্রাকৃতিক রাশি কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা

বিজ্ঞান ও গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের রাশি ব্যবহার করি। ভৌত রাশি ও প্রাকৃতিক রাশি এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণির মধ্যে পড়ে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

1. ভৌত রাশি (Physical Quantity) কাকে বলে?

যে সকল রাশির মান পরিমাপ করা যায় এবং যা কোনো এককসহ প্রকাশ করা যায়, তাকে ভৌত রাশি বলে। সহজভাবে বলা যায়, প্রাকৃতিক বা বিজ্ঞানসম্মত যেকোনো বিষয়কে পরিমাপযোগ্য রূপে প্রকাশ করলে সেটি ভৌত রাশি হিসেবে গণ্য হয়।

• ভৌত রাশির বৈশিষ্ট্য:
• এটি পরিমাপযোগ্য।
• এককসহ প্রকাশ করা হয়।
• এটি দুই ভাগে বিভক্ত: মূল (Base) ও উৎপন্ন (Derived) রাশি।
• ভৌত রাশির উদাহরণ:
• দৈর্ঘ্য (Length) → একক: মিটার (m)
• ভর (Mass) → একক: কিলোগ্রাম (kg)
• সময় (Time) → একক: সেকেন্ড (s)
• তাপমাত্রা (Temperature) → একক: কেলভিন (K)
• তড়িৎ প্রবাহ (Electric Current) → একক: অ্যাম্পিয়ার (A)
• আলো তীব্রতা (Luminous Intensity) → একক: ক্যান্ডেলা (cd)

50+ General Knowledge in Bengali NTPC Previous Year Question- সাধারণ জ্ঞান বাংলায়

2. প্রাকৃতিক রাশি (Natural Quantity) কাকে বলে?

যে সকল রাশি প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান থাকে এবং স্বতঃসিদ্ধভাবে অনুভূত হয়, তাকে প্রাকৃতিক রাশি বলা হয়।

• প্রাকৃতিক রাশির বৈশিষ্ট্য:
• এটি প্রকৃতিতে নিজে থেকেই বিদ্যমান থাকে।
• সরাসরি অনুভব করা সম্ভব।
• এটি ভৌত রাশির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
• প্রাকৃতিক রাশির উদাহরণ:
• আলো (Light) → সূর্যের আলো বা প্রদীপের আলো।
• তাপ (Heat) → আগুন বা গরম পানির তাপ।
• শব্দ (Sound) → যেকোনো শব্দ যা আমরা শুনতে পাই।
• গতি (Motion) → গাড়ির চলাচল, বাতাসের বইয়ে চলা।
• চুম্বকত্ব (Magnetism) → চুম্বকের আকর্ষণ বা বিকর্ষণ।

ভৌত রাশি হলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিমাপযোগ্য রাশি, যা নির্দিষ্ট এককসহ প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক রাশি হলো প্রকৃতিতে নিজে থেকেই বিদ্যমান রাশি, যা আমরা অনুভব করতে পারি। এই দুই ধরনের রাশি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।